এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে শুরু করবেন?

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক: 
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামতো সময়-সুযোগ অনুযায়ী বাসায় বসে কাজ করে টাকা আয় করা যায়।

অনলাইনে বাসায় বসে কাজ করার ক্ষেত্রে আয়ের বিষয়টি পুরোটাই নিজের উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন: আপনি অফিসে ৮ ঘন্টা কাজ করে যা বেতন পান তার থেকে বেশি সময় কাজ করেও সেই একই বেতন পাবেন, কিন্তু আপনি নিজের ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনলাইনে যত বেশি সময় দেবেন, আপনার রোজগার ততো বেশি বাড়বে। এক্ষেত্রে এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে একটি ভালো উপলক্ষ্য।

তো চলুন এবার জানা যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে আপনি শুরু করবেন:

১. এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সংজ্ঞা
এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি হলো যখন আপনি অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য প্রচার বা প্রোমোট করে থাকেন। এবং যখন কেই আপনার ওই এফিলিয়েট লিংক থেকে প্রচার করা প্রোডাক্টটি ক্রয় তখন আপনি একটি কমিশন পান।

এফিলিয়েট হিসাবে আপনি যেই কোম্পানির প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে চান আপনি হলেন সেই কোম্পনির বিক্রয়কর্মী। যখন ওই কোম্পনির কোনো প্রোডাক্ট বিক্রিতে আপনি সাহায্য করেন, তখন ওই কোম্পনি তার পরিবর্তে আপনাকে পুরস্কার প্রদান করে যাকে এফিলিয়েট কমিশন বলে।

এই মার্কেটিং পদ্ধতিতে সবথেকে ভালো জিনিসটি হলো এর কোনো নির্দিষ্ট সিমা নেই এবং আপনি আপনার এই কাজের পরিমাপ নিজেই ঠিক করতে পারবেন। একটি সাধারণ বিক্রয়কর্মী শুধু মাত্র একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে সক্ষম হন। অন্য দিকে আপনার ইচ্ছামতো আপনি যতগুলো কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করতে চান তা করতে পারেন এবং এফিলিয়েট কমিশন পেতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
মার্চেন্ট বা বিক্রেতা তার প্রতিটি এফিলিয়েটকে একটি আলাদা লিংক প্রদান করে থাকেন যার মাধ্যমে উনি ট্রেক করতে পারেন যে তার কোন এফিলিয়েট, কত গুলি প্রোডাক্ট বিক্রয় করেছে বা করছে। লিংকগুলি সাধারণত যেরকম দেখতে হয়:

example of unique amazon affiliate link.
Amazon ইউনিক এফিলিয়েট লিংকের উদাহরণ।

যখন কেউ এই লিংকে ক্লিক করে তখন তার ডিভাইসে একটি কুকি ফাইল স্টোর হয়ে যায়। যার মাধ্যম কোনো ক্রেতা দ্রব্যটি ওই সময় না কিনলেও তার কাছে পরে আবার ওই পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয় এবং অন্যদিকে গ্রাহক দ্রব্যটি কিনতে দেরি করলেও এফিলিয়েট তার কমিশন পেয়ে যান। যেরকম Amazon এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কাজ করে।

ধরুন আপনি কোনো Amazon এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করলেন এবং Amazon সাইটে ভিসিট করলেন তখন আপনার ডিভাইসে একটি কুকি ফাইল স্টোর হয়ে যাবে।

ওই মুহূর্তে কোনো কারণ বসতো ওই প্রডাক্টি কিনলেন না, এবং আপনি ৪ ঘন্টা পর সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনি ওই জিনিসটি কিনবেন বা অন্য কোনো দ্রব্য কিনবেন এবং ক্রয় ও করলেন কিন্তু এই বার আপনি এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক না করেই কিনলেন।

যেহেতু আপনার ডেভাইসে কুকি ফাইল স্টোর হয়ে আছে যার সময় সীমা ২৪ ঘন্টা থাকে তাই ওই এফিলিয়েট লিংকের এফিলিয়াটার আপনার অন্য দ্রব্য কেনার জন্যেও কমিশন পাবেন।

যে যে পক্ষ বা দল যুক্ত থাকে
অন্যান্য সব ব্যাবসার মতো এতেও তিনটি পক্ষ যুক্ত থাকে। কারণ কোনো একটি দ্রব্য বিক্রি করতে গেলে তাতে প্রতিটি পক্ষের দক্ষ কৌশল জড়িত থাকলেই তবে সেই দ্রব্যটির বিক্রয় বাড়বে বা দ্রব্যটি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করবে এবং তারপর ক্রেতার কাছে পৌঁছাবে। তাই এই তিনটি দলকে যুক্ত থাকতে হয়।

এই তিনটি পক্ষ হলো:

  • বিক্রেতা বা দ্রব্য উৎপাদক।
  • এফিলিয়েট বা প্রচারকারী।
  • ক্রেতা।

তো চুলুন এই মার্কেটিংয়ে এই পক্ষ বা দলগুলি একে অপরের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত তা দেখে নেই:

ক) বিক্রেতা এবং দ্রব্য উৎপাদক
বিক্রেতা কোনো একটি বেক্তি বা একটি বড় কোম্পনীও হতে পারে। যে একজন বিক্রেতা, বণিক, পণ্য স্রষ্টা বা বাজারজাত করার জন্য একটি পণ্য সহ খুচরা বিক্রেতা। এবং যে দ্রব্যটি বিক্রয় করা হবে তার শারীরিক রূপ থাকতেও পারে আবার নাও। যেরকম কোনো বাড়ির আসবাব পাত্র আবার অন্যদিকে কোনো সফটওয়্যার।

বিক্রেতা ব্র্যান্ড নামে পরিচিত এবং তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে ব্যাবসার সাথে যুক্ত নাও হতে পারে। বিক্রেতাটি হয়তো একজন ই-কমার্স মার্চেন্ট যিনি হয়তো ড্রপসিপিং ব্যাবসার সাথে জড়িত যে চায় এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাহায্যে নতুন ক্রেতাদের কাছে তার দ্রব্যটি বিক্রি করতে।

অর্থাৎ বিক্রেতা প্রত্যক্ষ ভাবে ব্যাবসার সাথে যুক্ত নাও থাকতে পারেন।

খ) এফিলিয়েট বা প্রচারকারী
প্রচারকারি বা বিজ্ঞাপনদাতা প্রকাশক হিসাবেও পরিচিত যা কোনও বেক্তি বা কোনও সংস্থা হতে পারে। বিক্রেতার পণ্যকে সম্ভাব্য বিভিন্ন ক্রেতার কাছে এক আকর্ষণীয় উপায়ে তুলে ধরেনা ইনি। অন্য ভাবে বললে, ওই দ্রব্যটি কতটা মূল্যবান, প্রয়োজনীয় এবং উপকারী তা গ্রাহকদের বোঝায় এবং তাদের ক্রয় করতে উৎসাহিত করে।

এবং এফিলিয়েট যদি তা সক্ষম হয় অর্থাৎ যদি পণ্য বা দ্রব্যটি গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করতে সক্ষম হয় তাহলে ওই বিকৃত দ্রব্যের মূল্যের কিছু অংশ এফিলিয়েট কমিশন হিসাবে পান।

গ) ক্রেতা
ক্রেতা বা গ্রাহকদল হলো এই পুরো পক্রিয়ার অন্তিম পক্ষ। গ্রাহকরা এটি জানতেও পারে আবার নাও পারে যে তাদের এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। এফিলিয়েট বা প্রচারকারি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট এবং ব্লগে এই সব দ্রব্য শেয়ার করে থাকেন যেখান থেকে পরে ক্রেতারা দ্রব্যগুলি কিনতে সক্ষম হন।

গ্রাহকরা যখন কোনো দ্রব্য ক্রয় করে, তখন সেখান থেকে প্রাপ্ত লাভ বিক্রেতা এবং এফিলিয়েট ভাগ করেনেন। অনেক সময় এফিলিয়েট তার গ্রাহকদের জানিয়ে দেন যে তারা এই দ্রব বিক্রির জন্য কমিশিন পাচ্ছেন আবার অনেক ক্ষেত্রে তা জানানো হয়না বা এফিলিয়েট জানায় না।

এফিলিয়েট মার্কেটারদের কিভাবে অর্থ প্রদান করা হয়
আপনাদের মনে হয়তো এই প্রশ্ন আস্তে পারে যে এফিলিয়েট মার্কেটাররা কি শুধু বিক্রয়ের জন্যই কমিশন পান নাকি আর কোনো পথ বা উপায় আছে।

এফিলিয়েট মার্কেটাররা শুধু প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য না আরো কিছু উপায়েও কমিশিন পান এবং তা পুরো নির্ভর করে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর। যে দ্রব্যটির উৎপাদক বা বিক্রেতা কি চাইছেন।

অর্থাৎ কোনো ভোক্তা দ্রব্যটি ক্রয় করার ফলেই যে এফিলিয়েট তার কমিশন পান শুধু সেটিই একটি উপায় না, হয়তো বিক্রেতা শুধু চাইছেন যে তার ল্যান্ডিং পেজে যাতে কেউ আসুক বা বিক্রেতার ওয়েবসাইট বিভিন্ন অডিয়েন্সকে বা ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্যেও এফিলিয়েটরা কমিশন পেয়ে থাকেন।

পুরোপুরি নির্ভর করছে যে উৎপাদক কি চাইছেন তার এফিলিয়েটদের কাছ থেকে।

যেসব ধরণের কাজের জন্য এফিলিয়েটরা কমিশন পেয়ে থাকেন:

ক) পে পার সেল (Pay Per Sale)
পে পার সেল হলো এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রধান এবং আদর্শ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মার্চেন্ট বা উৎপাদক তার বিক্রিত পণ্যের নির্ধারিত কিছু শতাংশ বা পার্সেন্টেজ এফিলিয়েটকে এফিলিয়েট কমিশন হিসাবে প্রদান করে থাকে।

খ) পে পার লিড (Pay Per Lead)
এটি পে পার সেল এর থেকে জটিল পদ্ধতি যাকে কনভার্সন অফ লিডস ও বলা হয়। এই ক্ষেত্রে এফিলিয়েটকে বিভিন্ন ক্রেতাদের উৎপাদক বা বিক্রেতার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে হয় যেখানে মার্চেন্ট বা উৎপাদক তার পছন্দসই কাজটি সম্পূর্ণ করতে গ্রাহকদের প্ররোচিত করে। যেরকম প্রোডাক্ট কন্টাক্ট ফর্ম ভরা, কোনো প্রোডাক্ট ট্রায়ালের জন্য নিবন্ধন (Sign up) করা বা কোনো সফটওয়্যার ডাউনলোড করানো।

গ) পে পার ক্লিক (Pay Per Click)
এই প্রোগ্রামে এফিলিয়েট তার মার্কেটিং প্লাটফর্ম থেকে ক্রেতাদের উৎপাদক বা বিক্রেতার প্লাটফর্মে নিয়ে আস্তে উৎসাহিত করে। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে ওয়েব ট্রাফিকের বৃদ্ধের ভিক্তিতে কমিশন প্রদান করা হয়।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

আশা করি ওপরের ব্যাখ্যা থেকে অল্পকিছু ধারণা পেয়েছেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে কাজ করে। তো চলুন এবার জেনে নেই আপনিও কিভাবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং শুরু করবেন এবং সেখান থেকে রোজগার করতে পারবেন।

আমরা এই পুরো প্রসেসটিকে ৫টি ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি:
ক) একটি ভালো প্লাটফর্ম খোঁজা
খ) নির্দিষ্ট বিষয় (Niche) বেছে নেওয়া।
গ) ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হওয়া।
ঘ) ভালো এবং উচ্চমানের বা কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরা করা।
ঙ)ট্রাফিক বা অডিয়েন্স নিয়ে আসা এবং তাদের বিক্রেতাতে রূপান্তর করা।

ক) একটি ভালো প্লাটফর্ম
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের শুরু করার আগে প্রথমে অবশ্যই একটি ভালো প্লাটফর্ম বেছেনিন। প্লাটফর্মটি অবশ্যই যাতে ভালো জনপ্রিয় হয় এবং যেখানে যথেষ্ট ট্রাফিক থাকে।

পারলে চেষ্টা করবেন একটির জায়গায় দুটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য যেরকম: YouTube এবং Blog .

খ) নির্দিষ্ট Niche বা বিষয়
অবশ্যই আপনাকে এরকম একটি Niche বা বিষয় বেছে নিতে হবে যার সাথে আপনি অল্প হোক পরিচিত এবং যার মার্কেটে প্রতিযোগিতাও কম। কারণ আপনি যেই প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত না সেই জিনিস নিয়ে লেখা বা প্রমোট করা সহজ না এবং উচিত ও না।

আর যেহেতু এখন সবাই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাথে যুক্ত হতে চাইছে তাই প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এমন একটি niche বেছেনিন যার প্রতিযোগিতা একটু কম।

চাইলে একটির জায়গায় দুটি বা তিনটি niche বা বিষয় নিয়েও আপনি কাজ করতে পারেন কিন্তু আপনি যদি সবে মাত্র শুরু করে থাকেন তাহলে কখনোই একটির বেশি দুটি Niche বা বিষয়ের ওপর কাজ করবেন না একমাত্র একটির বেশি niche তখনি সিলেক্ট করবেন যখন আপনি নিজে সবদিক থেকে তৈরি থাকবেন।

গ) একটি ভালই এফিলিয়েট প্রোগ্রামেরে সাথে যুক্ত হওয়া
একটি ভালো ট্রাফিক যুক্ত প্লাটফর্ম এবং একটি niche সিলেক্ট করার পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ভালো এবং হাই পে আউট এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়। যেখান থেকে আপনি হাই পে আউট প্রোডাক্টের এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

তিন রকমের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম দেখা যায়:

১. হাই পেয়িং, লো ভলিউম এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (High paying, low Volume affiliate programs)
এই এফিলিয়েট প্রোগ্রমে niche প্রোডাক্টের পে আউট বেশি হয় অর্থাৎ আপনি কমিশন বেশি পাবেন। এবং প্রোডাক্টের কমিশন বেশি হলেও ট্রাফিক বা ক্রেতাদের সংখ্যা কম হয়ে থাকে এবং তাই নতুন যারা আছেন তাদের জন্য একটু অসবিধা হবে।

২. লো পেয়িং, হাই ভলিউম এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Low paying, high volume affiliate programs)
এই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে niche প্রোডাক্টের পে আউট বা কমিশন কম হয় ও এফিলিয়েট আবেদন বেশি হয় আবার এইসব প্রোডাক্টের ট্রাফিক বা ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি হয় অর্থাৎ প্রোডাক্টের সংখ্যাও বেশি হয়।

উদাহরণ হিসাবে Amazon Affiliate program. যেখানে এফিলিয়েট কমিশন কম কিন্তু ট্রাফিক এবং প্রোডাক্ট দুটিরই সংখ্যা বেশি। নতুন এফিলিয়েটদের জন্য সব থেকে উপযোগী। কিন্তু আপনার ট্রাফিক বেশি থাকা দরকার।

৩. হাই পেয়িং, হাই ভলিউম এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (High paying, high volume programs)
এই এফিলিয়েট প্রোগ্রামের niche প্রোডাক্টের এফিলিয়েট আবেদন অনেক বেশি হয় এবং তার সাথে সাথে পে আউট বা কমিশন ও অনেক বেশি হয়।

যেরকম ক্রেডিট কার্ড।

ঘ) ভালো কোয়ালিটি যুক্ত কনটেন্ট তৈরি করা
একটি এফিলিয়েট মার্কেটারের সাফল্যের চাবি কাঠি তার কন্টেন্ট কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি সর্বদা ভালো এবং উচ্চমানের রাখতে।

আপনি গুগলে সার্চ করতে পারেন যে কিভাবে একটি ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরী করা যায়। ওখানে আপনি এরকম অনেক আর্টিকেল পাবেন যা আপনাকে ভালো কনটেন্ট তৈরী করতে সাহায্য করবে।

একটি কনটেন্ট অবশ্যই দক্ষতা সহকারে লিখতে বা তৈরী করতে হবে এবং এফিলিয়েট লিংক কখনোই অযথা কনটেন্টের যেখানে সেখানে প্রদান করবেন না। তাতে আপনার কনটেন্ট Spam দেখাবে।

তাই গুগলে রিসার্চ করে নিজেকে অবশ্যই তৈরী করবেন যে কিভাবে এফিলিয়েট প্রোগামের জন্য ভালো কনটেন্ট তৈরী করতে হয় যা আপনার বিক্রয় বাড়াবে।

ঙ) প্লাটফর্মে ট্রাফিক নিয়ে আসা এবং তাদের ক্রেতাতে রূপান্তর করা
আমি মনে করি যে এটিই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের শেষতম এবং কঠিনতম ধাপ।

আপনার একটি ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরির পর শেষ যে কাজ দুটি বাকি থাকে তা হলো আপনার প্লাটফর্মে ট্রাফিক নিয়ে আসা এবং তাদের ক্রেতাকে রূপান্তর করা।

আপনার কনটেন্ট দেখার জন্য বা পড়ার জন্য ট্রাফিক অবশ্যই দরকার যারা পরে আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে। তাই ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য আপনি তিনটি পথ বেছে নিতে পারেন:

ক) পেইড ট্রাফিক।

খ) ইমেইল লিস্ট।

গ) SEO (Search Engine Optimization) বা অর্গানিক ট্রাফিক।

এবং সবার শেষে আপনার প্লাটফর্মের ট্রাফিক গুলিকে ক্রেতাতে রূপান্তর করা। এবং তার জন্য অবশ্যই তাদের আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করতে হবে। একটি ভিসিটরকে ক্রেতাকে রূপান্তর করতে সাহায্য করে ওপরের সব গুলি ধাপের যথাযথ ব্যবহার।

আমি এর আগেও মেনশন করেছি এফিলিয়েট লিংক অযথা যেখানে সেখানে পেস্ট করবেন না। আর আপনি যদি ওপরের সমস্ত স্টেপস গুলি ভালো ভাবে করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইচ্ছুক ক্রেতারা আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে।

একটি কথা সর্বদা মনে রাখবেন যে আপনার ওয়েবসাইটে সব ভিসিটর্সরাই যে আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে এবং আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে তা একদমই না। কিন্তু হতাশ হবেন না তাদের সবাই আপনার প্রোমোট করা প্রোডাক্টটি না কিনলেও কিছু ভিসিটর্স অবশ্যই কিনবে।

গুগলে এরকম অনেক আর্টিকেল আছে যেখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন যে কিভাবে আরো বেশি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা যায় এবং তাদের বিক্রেতাও রূপান্তর করা যায়।

আপনি যদি মনে করেন যে এক রাত্রিতেই আপনি একজন ভালো এফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে যাবেন তাহলে সেটা অবাস্তব। একজন ভালো এফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে, এর পেছনে সময় দিতে হবে। নিত্যনতুন রিসার্চ করতে হবে।

তবে অসম্ভব কিছুই না, কোটি কোটি মানুষ এফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্জন করতে পারছে, আপনিও পারবেন।