একাত্তরের পর আসামে যাওয়া ‘বাংলাদেশি’দের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ২ মাস আগে

বাংলাদেশ থেকে যারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর অবৈধভাবে আসামে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ভারত সরকার শুরু করবে।

বৃহস্পতিবার আসামের বিরোধী কয়েকটি দলসহ বিভিন্ন সংস্থা এমন দাবি জানিয়েছে।

দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকে এই দাবি উঠেছে। দেশটির আদালত নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রাখলেন। এ ধারার আওতায় ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্বের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।

আসামে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ৬এ ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। ধারাটি আসাম চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। চুক্তিটি একই বছর তৎকালীন রাজীব গান্ধী সরকারের সঙ্গে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

এ চুক্তি ছয় বছরের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী আসাম আন্দোলনের পর সই হয়। চুক্তিতে বলা হয় যে, অবৈধ অভিবাসী যারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে আসামে প্রবেশ করেছেন, তাদের ধর্ম নির্বিশেষে শনাক্ত করা হবে এবং ফেরত পাঠানো হবে।

কিছু বিরোধী দল দাবি করেছে, আসামকে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (সিএএ) আওতার বাইরে রাখা হোক, কারণ এটি ওই ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সিএএ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের আগে ভারতে আসা অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে, কিন্তু আসাম চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর আসা অবৈধ অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কংগ্রেস, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ), রাইজর দল, আসাম জাতীয় পরিষদের (এজেপি) পাশাপাশি এএএসইউ ও আসাম পাবলিক ওয়ার্কস (এপিডব্লিউ) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।

সেই ৬এ ধারা বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ৬এ ধারাটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। কারণ সেই ধারার ফলে আসামের মানুষের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়।

সবশেষ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের চার সদস্য নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার বৈধতা বজায় রাখার পক্ষে রায় দিলেন।

সূত্র: দ্য নিউজ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।