উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে এ পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেবেন। এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।
এর আগে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়কারী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ফল প্রকাশের অফিস আদেশ জারি করে।
এতে জানানো হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় ‘এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২’-এর ফল স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে। স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডউনলোড করা যাবে।
এ পরীক্ষার ফল প্রকাশে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে সে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করার পর শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বিষটি জানানো হয়।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে (যেমন HSC Dha 123456 2022 send to 16222)। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
বোর্ড জানিয়েছে, তাদের অধীন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.dhakaeducationboard.gov.bd) রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
আর www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্র মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ ছাত্রী।
এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ জন ছাত্রী।