পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের অফিস ও থানার পাশের একমাত্র খেলার মাঠ দখল করে কয়েকদিন ধরে ফুটবল খেলে রোহিঙ্গা যুবকরা। অভিযোগ রয়েছে, মাঠে স্থানীয়দের ঢুকতে দেয় না তারা। আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ৫০ রোহিঙ্গা আটক করা হয়।
উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান সজিব ৫০ রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আটককৃত রোহিঙ্গারা বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পের বলে জানা গেছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা মাঠের সামনে কিছু স্থানীয় যুবক আমাকে জানান শতাধিক রোহিঙ্গা তাদের খেলার মাঠটি দখলে নিয়ে ফুটবল খেলছে। রোহিঙ্গাদের কারণে তারা খেলতে পারছেন না। পরে মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসা করলে তারা রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন। বড় পরিসরে খেলার জন্য তারা ক্যাম্প থেকে উখিয়া কেন্দ্রীয় মাঠে খেলতে আসে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কোনো নাগরিক উখিয়ার মধ্যে চলাফেরা করতে চাইলে ৪-৫টি চেকপোস্ট পার করতে হয়। এরা কীভাবে ক্যাম্প থেকে বের হল সেটি বড় প্রশ্ন? রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় খেলোয়াড়রা মাঠে খেলতে পারছেন না।
মো. হাসান নামে স্থানীয় এক কিশোর জানায়, তারা নিয়মিত উখিয়া মাঠে খেলতো। কিন্তু কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গারা তাদের খেলতে দিচ্ছে না। রোহিঙ্গারা তাদের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে মাঠে ঢুকতে দেয় না।
এদিকে রোহিঙ্গাদের খেলার মাঠ দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান সজিব। তিনি রোহিঙ্গাদের উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান সজিব জানান, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসে রোহিঙ্গাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে কীভাবে বের হলো সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ৫০ জন রোহিঙ্গা আমাদের হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।