গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় তাঁতী লীগ নেতা ডিউক মিয়াকে (৩৫) কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকার ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
তবে কারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। মো. সিরাজুল ইসলাম নামের একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
ভিডিওটি ৪২ সেকেন্ডের। ওই ভিডিও কয়েকজন যুবককে বলতে শোনা যায়, ভাই তুমি আর আ.লীগ করবা? না ভাই আমি আর আ.লীগ করবো না। তারপর কয়েক সেকেন্ড শোনা যায়নি। পরে আবারো বলা হয় কান ধরো পশ্চিম মুখ হয়ে। ম্যালা মানুষজনকে তো ধরে দিছিলা আগে। না ভাই ধরে দেইনি। পরে বসো বলে এই নেতাকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায়। পরে তাকে আরো কয়েকটি লাথি মারতেও দেখা যায় ভিডিওতে।
ভিডিওতে যুবকদের কথোপকথন থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ডিউক মিয়াকে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার কারণে হয়রানি করা হতে পারে। তবে ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানা না যাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
ডিউক মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর (মিয়াপাড়া) গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার পর থেকে ডিউক মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দলীয় পর্যায়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে কথা হয় জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়ার সাথে।
তিনি বলেন, ডিউক মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের পূর্বের কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তবে তার কান ধরে ওঠবস করানোর ভিডিওটি আমার চোখে পড়েনি। এ ঘটনায় আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।