পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলেও সিলেটের সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক চর্চা এপারে ওপারে এখনও সমভাবে বহমান। তাই আসামের বাংলাভাষীদের সাথে সিলেটের সেতুবন্ধন গড়ে তোলা সময়ের দাবি। এতে এপার ওপার বাংলার সিলেটি, বাংলা, বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বেগবান করা যাবে।
রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত শিল্পী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, সংস্কৃতিরও একটা নাড়ী আছে, আর এই নাড়ির সম্পর্ক সীমান্তের কাঁটাতার ও সাত সমুদ্রও ছিন্ন করতে পারেনা। এ কারণেই সিলেটের সংস্কৃতি বিশ্বময় ছড়িয়েছে। সিলেটে অবস্থান না করলেও বিদেশের মাটিতে থাকা লাখো লাখো সংস্কৃতিসেবীরা সিলেটের সংস্কৃতি বুকে লালন করে চলেছেন।
মণিপুরী মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কন্ঠযোদ্ধা বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ হিমাংশু বিশ্বাস, সাংবাদিক সাত্তার আজাদ, সাংবাদিক আকাশ চৌধুরী, গীতকবি আহমেদ বকুল, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব দীপাল কুমার সিংহ, সংস্কৃতিকর্মী ডা: ইউ কে সিনহা, সাংবাদিক অমিতা সিনহা, সংস্কৃতিকর্মী বিধান চন্দ্র রায়, প্রসন্ন কুমার সিংহ, রণজিৎ সিংহ, বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তু মণি সিংহ, অনিল রাজকুমার, রথীন্দ্র কুমার সিংহ, লিটন সিংহ প্রমুখ। এর আগে শিল্পী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় গীতিকবি সৈয়দুর রহমান, শিল্পী এন আর নারায়ণ, আসামের চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা সিদ্ধার্থ সিনহা, শিল্পী ঋষি সিনহা ও অভিনেতা মিলন সিংহকে।
সিলেট/ অমিতা / ৭ নভেম্বর ২০২২