বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত টুর্নামেন্ট কোটি টাকার সুপার কাপ। কিন্তু ২০১৩ সালের পর টুর্নামেন্টটি আর মাঠেই গড়ায়নি।
বেশ কয়েকবার এই প্রসঙ্গ উঠলেও সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে ১০ বছর পর আবারও ফিরছে সুপার কাপ। পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটির দায়িত্ব পেয়ে তেমন ঘোষণাই দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেবার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি যদি-কিন্তুর কথাও বলেছিলেন তিনি।
তবে সেই ধোঁয়াশার আবরণ মিটিয়ে দিলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। আজ সাংবাদিকদের সুপার কাপ আয়োজনের কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি। এবারের আসরে অংশ নেবে ছয়টি দল। গত মৌসুমের লিগ টেবিলের সেরা চারটি দল সরাসরি খেলবে মূল পর্বে। সেক্ষেত্রে সরাসরি খেলবে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
বাকি ৭টি দলের মধ্যে বাছাই পর্ব হবে, সেখান থেকে ২টি দল পাবে মূল পর্বের টিকেট। বাছাইয়ের ম্যাচ হবে ১৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২রা এপ্রিল হবে চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচ। ফাইনাল হবে ১৩ই এপ্রিল। তবে এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সোহাগ, ‘ভেন্যু নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের পেশাদার লিগ কমিটির মিটিংয়ে খুব শিগগিরই সুপার কাপের ভেন্যু কি হবে, সেটা চূড়ান্ত হবে। যদিও বছরের শুরুতে কমিটির একটা প্রতিক্রিয়া ছিল, সুপার কাপ আমরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে করতে পারি কি না। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুতে সুপার কাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বাছাইয়ের ম্যাচগুলো হয়ত আমরা প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যুগুলোতে করতে পারব, কিন্তু মূল পর্ব হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ওই সময় লিগে ও অন্যান্য খেলা বন্ধ থাকবে। ’
আগের তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন দলকে কোটি টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়বে কিনা এ ব্যাপারে সোহাগ বলেছেন, ‘এটা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, প্রাইজমানি ও অংশগ্রহণ ফি যেন আরও বেশি আশাব্যঞ্জক হয় এবং বাফুফের পক্ষ থেকে যেন টুর্নামেন্ট আরও জমজমাট করা হয়, এগুলো নিয়ে আমরা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব। ’
২০০৯ সালে সুপার কাপের প্রথম আসরে চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। দুই বছর পর দ্বিতীয় আসরে যদিও শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পায় আবাহনী। ২০১৩ সালে তৃতীয় আসরে আবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে মোহামেডান।