রাব্বানা— ইন্নানা— আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- যুনূবানা- ওয়াক্বিনা- ‘আযা-বান্ নার্
হে আমাদের রব! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি, তাই আমাদের গুণাহ সমূহকে ক্ষমা করুন আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। [আলে‘ইমরান, ৩/১৬]
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
রাব্বানা— আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্ হামনা- ওয়াআন্তা খায়রুর্ রা-হিমি—ন্
হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি তাই আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি রহমত করুন আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। [আল-মু‘মিনুন, ২৩/১০৯]
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
রাব্বিগফির্ ওয়ারহাম্ ওয়া আনতা খায়রুর রা-হিমি—ন্
হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও রহমত করুন আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। [মু‘মিনুন, ২৩/১১৮]
رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
রাব্বানা— আতমিম্ লানা- নূ-রানা- ওয়াগফির্ লানা- ইন্নাকা আলা ক্বুল্লি শায়য়িন্ ক্বাদি-র্
হে আমাদের রব! আমাদের জন্যে আমাদের নূরকে পরিপূর্ণ করে দিন আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। [আত-তাহরীম, ৬৬/৮]
বাবা মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আঃ
رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
রাব্বির্ হামহুমা- কামা- রাব্বাইয়া-নি- সোগি-রা-
হে আমার রব! তাদের উভয়ের প্রতি রহমত করুন, যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছে। [আল-ইস্রা, ১৭/২৪]
পূর্ববর্তী মুমিন ভাইদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আঃ
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإيمَانِ وَلا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
রাব্বানাগ্ ফিরলানা- ওয়ালি ইখ্ওয়া-নি নাল্লাযি-না সাবাক্বুনা- বিল্ ঈমা-নি ওয়ালা তাজ্‘আল ফি- ক্বুলুবিনা- গিললাল্ লিল্লাযিনা আ-মানু- রাব্বানা– ইন্নাকা রাউ-ফুর্ রাহিম্
হে আমাদের রব! আমাদেরকে এবং আমাদের সেইসব ভাইদেরকে ক্ষমা করুন যারা আমাদের পূর্বে ঈমান এনেছে; আর যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না, হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি করুনাময়, পরম দয়ালু। [আল-হাশর, ৫৯/১০]
আদম আলাইহিস্ সালাম ও তার স্ত্রী ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিলেনঃ
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রাব্বানা- য্বোলামনা— আন্ ফুসানা- ওয়া ইল্লাম্ তাগফির্ লানা- ওয়া তারহামনা- লানাকু-নান্না মিনাল্ খা-সিরী—ন্
হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের উপর অন্যায় করেছি, আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন আর আমাদেরকে রহমত না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। [আ’রাফ, ৭/২৩]
নূহ আলাইহিস্ সালাম ক্ষমা চাওয়া দু‘আ করেছিলেনঃ
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلا تَبَارًا
রাব্বিগ্ ফিরলি- ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়া লিমান্ দাখালা বাইতিয়া মু-মিনাও ওয়ালিল্ মু-মিনি-না ওয়ালিল্ মু-মিনা-তি ওয়ালা- তাযিদিয্ য্বো-লিমি-না ইল্লা- তাবা-রা-
হে আমার রব! আমাকে, ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করুন, আর যে মুমিন হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে তাকেও ক্ষমা করুন এবং মুমিন পুরুষদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদেরকে ধ্বংস ছাড়া অন্য কিছু বৃদ্ধি করবেন না। [নূহ, ৭১/২৮]
ইবরাহীম আলাইহিস্ সালাম ক্ষমা চাওয়া দু‘আ করেছিলেনঃ
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
রাব্বানাগ্ ফিরলী- ওয়ালি ওয়ালি দাইইয়া ওয়ালিল্ মূ-মিনী-না ইয়াওমা ইয়াকু-মুল্ হিসা-ব্
হে আমাদের রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে ও মুমিনদেরকে সেদিন ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে। [ইবরাহীম, ১৪/৪১]
মুসা আলাইহিস্ সালাম ক্ষমা চাওয়া দু‘আ করেছিলেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ
আল্লা-হুম্মা আন্তা ওয়ালি-য়ুনা- ফাগফিরলানা- ওয়ারহামনা- ওয়া আন্তা খায়রুল্ গা-ফিরি—ন্ ওয়াকতুব্ লানা- ফি- হা-যিহিদ্ দুন্ইয়া- হাসানাতাও ওয়াফিল্ আ-খিরা
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের অভিভাবক তাই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন ও আমাদেরকে রহমত করুন আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী। আর আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যান লিখে দিন। আ’রাফ, ৭/১৫৫-১৫৬
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
রাব্বি ইন্নি- যোলামতু নাফসি- ফাগফিরলি- ফাগাফারালাহু ইন্নাহু হুওয়াল্ গাফু-রুর্ রাহি-ম্
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি নিজের উপর জুলুম করেছি, তাই আমাকে ক্ষমা করুন; অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। [আল-কাসাস, ২৮/১৬]
সহীহ হাদীস হতে ক্ষমা চাওয়ার দু‘আঃ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
আস্তাগফিরুল্লা-হ;
আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأتُوْبُ إِليْهِ
আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়াতুবু ইলাইহ
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি ও তার নিকট তওবা করছি। (বুখারী ও মুসসিম)
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لآ إلَهَ إلَّاهُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأتُوْبُ إِليْهِ
আস্তাগফিরুল্লা- হাল্লাযি- লা— ইলাহা ইল্লা হুওয়াল্ হাইয়ুল্ ক্বায়উম্ ওয়াতুবু ইলাই
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি। (আবূ দাউদ, আত-তিরমিযী)
رَبِّ اغْفِرْلِيْ
রাব্ বিগ্ ফিরলি
হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা কর।
اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِيْ، وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলি-, ওয়ার্ হামনি- ওয়াহদিনি- ওয়া‘আ-ফিনি- ওয়ারযুক্বনি-
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে দয়া কর, আমাকে হিদায়াত দাও, আমাকে নিরাপত্তা দাও, আমাকে জীবিকা দাও। (সহীহ মুসলিম)
সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার, সকাল ও সন্ধ্যায় একবার পড়তে হয়ঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লা-হুম্মা আন্তা রাব্বি লা— ইলাহ ইল্লা আন্ত্, খালাক্ক্ তানি- ওয়া আনা- ‘আব্দুক্, ওয়া আনা- ‘আলা- আহদিকা ওয়া ওয়াঅ’দিকা মাসতাত্বোত্, আউ-যুবিকা মিন্ শার্ রি মা- সোনাত্, আবু-উলাকা বিনঅমাতিকা আলাই, ওয়া আবু-উ বিযাম্বি, ফাগফিরলি- ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয্ যুনুবা ইল্লা আন্ত্
হে আল্লাহ! তুমি আমার রব, তুমি ছাড়া আর কোন (সত্য) উপাস্য নেই, তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার বান্দা, আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি, আমি যা করছি তাঁর অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, আমার উপর তোমার যে নি‘আমত রয়েছে আমি তা স্বীকার করছি, এবং আমি আমার অপরাধও স্বীকার করছি, তাই তুমি আমাকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত অন্য কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না। (সহীহুল বুখারী) –
মহান আল্লাহর নিকট আমাদের সকলকে ক্ষমা চাওয়ার দু‘আর আমল করার তাওফিক দান করুন,আমীন।
লেখক: হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট।