আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রবাসী আনোরুজ্জামান চৌধুরী দেশের বৃহত্তম দল থেকে মনোনীত হওয়ার পর থেকে শুরু করে একের পর এক ঘটনায় আলোচনা রয়েছেন। কখনো হচ্ছেন সমালোচিতও। প্রতীক বরাদ্দের আগেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণেরও। এরই মধ্যে আনোয়ারুজ্জামানকে ইসি কারণ দর্শানো নোটিশও দিয়েছে।
কখনো সিলেটের আওয়ামী লীগ দলের স্থানীয় নেতাদের টপকিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী বনে যাওয়ায়, কখনো নিরবে মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য, কখনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শো-ডাউন করে দলবেঁধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। আর এসব কর্মকান্ডের জন্য অনেকেই বিব্রত হচ্ছেন। আর ভূলভ্রান্তি কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন মেয়রপ্রার্থী।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আনোয়ারুজ্জামানের এমন ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সিলেটের মানুষ ক্ষোভে ভরা মনকে শান্তও করেছেন।
সিলেট মহানগরের সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লোকের মুখে মুখে যখন আনোয়ারুজ্জামান মানুষের মনে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছিল, সেই ক্ষণে আবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেন কাউকে তোয়াক্কা না করে, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণ প্রচারণা দেখা যাচ্ছে সিলেট শহরের চৌরাস্তায় কিংবা অলিগলি রাস্তায়। সাদা কালো অথবা রঙিন পোস্টার- ফেস্টুন আর বড় বড় ব্যানার বিদ্যুতের খুটিতে আর দেয়ালেও লাগানো দেখা যায়। তার এই অবাধ্য নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন কর্মকান্ডে অন্যান্য প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন কি সিলেটের আরেক মেয়র পদের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল নির্বাচন কমিশনের কাছেও মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও অভিযোগ করেছেন। সেই সময়ও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা পাত্তায় দেয়নি। অবশ্য পরবর্তিতে মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার এই কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।
আসছে ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। অথচ নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আগেই সিলেট শহর জুড়ে আনোরুজ্জামান চৌধুরীর রঙিন-সাদাকালো পোস্টার ও ব্যানারে ছড়িয়ে আছে দেয়ালে কিংবা বিভিন্ন খুঁটিতে। তা দেখে বাঁকি প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি ভঙ্গ করে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো শুরু করেছেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের নামে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন ভোটাররা। তাদের মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই সিসিক নির্বাচন করা হয়েছে। ওদের উচিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা। এমন অবাদে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন দেশের নির্বাচনী নিয়মের পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ পাবলিক রিঅ্যাকশনকে বলেন, যদিও আমি এবারের নির্বাচনে (সিসিক) মেয়র পদের প্রার্থী হওয়া জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি দল থেকে সেই সুযোগ পাইনি। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে প্রাবাসী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সহযোগীতা করে যাচ্ছি। এখনো নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাই এখনো আনোয়ারুজ্জামানের কোনো অস্থায়ী দপ্তর বসানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এখন যেসব প্রচার প্রচারণ করা হচ্ছে ব্যক্তি আনোয়ারুজ্জামান নিজের আর দল থেকে। যদি তিনি নির্বাচনী কোনো বিধি বিধান লঙ্ঘন করে থাকে, তাহলে সেই ভূলভ্রান্তিকে নিজেকেই সংশোধন করতে হবে। আর দলীয় নেতাকর্মীদের আরো সচেতন হতে হবে।
মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলকে ইসির শোকজ
এদিকে, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টিও মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (৩০ মে) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
আচরণ বিধিমালা ৩২ বিধি অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net