আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের অবদানের স্বীকৃতি দাবি

:: আনসার আহমেদ উল্লাহ, লন্ডন ::
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

আলতাব আলী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাঙালি প্রবাসীদের অবদানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত ২ মে লন্ডনে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপির সাথে দেখা করেন। তারা মন্ত্রীকে তার নিয়োগে অভিনন্দন জানান এবং তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ফাউন্ডেশন হাইলাইট করে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, প্রবাসীদের ভূমিকার কোনও বাস্তব স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। প্রবাসী বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করতে এবং পরবর্তী মুক্তির সংগ্রামে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিতে আলতাব আলী ফাউন্ডেশন ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের প্রবেশপথে একটি ম্যুরালসহ একটি স্থায়ী তোরণ স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। এটি স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্তরাজ্যের বাঙালি প্রবাসীদের প্রধান ভূমিকাকে সম্মানিত করবে।

তাছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মোড়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছে ফাউন্ডেশন। এটি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী অভিবাসীদের অপরিসীম অর্থনৈতিক অবদান এবং বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচারে তাদের উত্সর্গকে স্মরণ করবে।

“আমাদের প্রবাসীরা বাংলাদেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের দেশের অগ্রগতির জন্য অটল দূত হয়েছে,” বলেছেন নুরউদ্দিন আহমেদ। “এখন সময় এসেছে তাদের ত্যাগ এবং চলমান প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে সরকারী স্বীকৃতি পাওয়ার।”

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলকে তাদের প্রস্তাবগুলো যথাযথ বিবেচনার জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।


প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]