মোহাম্মদ শামসুদ্দীন:
আর কত বাংলাদেশী নিরস্ত্র—নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করলে আমাদের জাতি রাষ্ট্রের টনক নড়বে। বারবার সীমান্তে গুলি, খুন, নির্যাতন, লাশ গুম এটি কোন ধরণের বন্ধুত্বের নমুনা? বন্ধুর বুকে বন্ধু কখনো গুলি চালায় না। এটি পৃথিবীতে নজিরবিহীন। অথচ আমাদের রাষ্ট্র নিশ্চুপ। শেখ হাসিনা কোন ভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারেননা। নাগরিককে রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবাদ জানাতে ব্যর্থ হলে লাশ গ্রহণে সীমান্তে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
২০০০—২০২১ পর্যন্ত ২১ বছরে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশের নিরস্ত্র—নিরীহ নাগরিকদের সীমান্তে হত্যার ধারাবাহিকতায় এই হত্যা। যা খুবই নিন্দনীয়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার এবং বিবেকবানদের নিবার্ক থাকা সন্দেহজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। বারবার সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লংঘন, আমাদের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বকে অবহেলার সামিল। জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত শ্রদ্ধা ও সম্মান করে না। যা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অবজ্ঞার শামিল।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নিরস্ত্র—নিরীহ কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার লাশের ছবি এখনো পৃথিবীর সকল মানবতাবাদী মানুষের বুকে রক্তক্ষরণ করে। বিচারের আশায় দিন গুনছে ফেলানীর মা—বাবা, বাংলাদেশ ও সারাবিশ্ব। ক্ষতিপূরণ পায়নি নিরীহ ফেলানীর পরিবার। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করতে পারলেই বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা রোধে সক্ষম হবে।
আজো (৯ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি সীমান্তে নিরীহ দুই বাংলাদেশি যুবক আয়নাল হক (২৮) ও ওয়াজুন্নবী’কে (৩০) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কতৃর্ক গুলি করে হত্যা করেছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সীমান্ত হত্যা এবং সার্বভৌমত্ব লংঘনের বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সরব হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
লেখক: আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর, নাগরিক পরিষদ
(বিবৃতিকে মতামত আকারে তুলে ধরা হলো)