দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাত দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে। সে মোতাবেক আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে।
এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সভা শেষে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না।
সেইসঙ্গে চলমান তাপদাহে ঝুঁকি এড়াতে বাচ্চা ও বয়স্কদেরকে প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
এছাড়া হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সার্বিক দিক বিবেচনা করে শনিবার (২০ এপ্রিল) সরকার ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
ছুটি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাউশি বলে, সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।
একই ভাবে ছুটির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।