সিলেট ব্যুরো:
আবাসিক হোটেলে নিলীমা বেগম লিলির ঝুলন্ত মরদেহ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন নিহতের পিতা নুরুল হক।
তিনি মনে করেন, এটি আত্মহত্যা নয়। এ ঘটনার পেছনে প্ররোচনা দেয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করে সুষ্ঠু বিচার চেয়েচেন তিনি।
তবে মামলায় আসামী করা ব্যক্তি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে দিক্ষণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ানি সকালে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা শাপলা আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় একটি বন্ধ কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লিলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই সময় কক্ষটির ভেতর থেকে লক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে এর পেছনে প্ররোচনা বা অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা মনে করছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পিতা বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তও সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। দোষী ব্যক্তির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খুব দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে স্থানীয় ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শাপলা আবাসিক হোটেলের পরিচালক (ম্যানেজার) জহির মিয়ার স্ত্রী ছিলেন নিহত লিলি। তবে ওদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায় অনেক আগে। কিন্তু তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক না থাকলেও অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক চলমান ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, স্বামী জহির স্ত্রী লিলিকে দিয়ে হোটেলে নৈতিক ব্যবসা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে। এক পর্যায়ে লিলি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। যে কারণে জহিরের নানা ধরণের অনৈতিক কর্মকে সহ্য না করতে পেয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগকৃত শাপলা আবাসিক হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। নিহত লিলি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দুলিয়ারবন্দ গ্রামের নুরুল হকের কন্যা।
সিলেট/অমিতা সিনহা/ ২৩ জানুয়ারি ২০২৩