দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচীকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তবে বিষয়টি ফুটে উঠেছে ঠাট্টা।
বিক্ষোভ-আন্দোলনের আপডেট চেয়ে আন্দোলন আপডেটের অ্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে শাওন লিখেছেন, ‘‘আজকে কি কোথাও কর্মসূচি/আন্দোলন/বিক্ষোভ নাই! ফেসবুকে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিনা! ট্রাফিক আপডেট ‘ঢাকার চাকা’র মতো আন্দোলন আপডেটের একটা অ্যাপ তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি।’’
শাওনের এই দাবির সঙ্গে তার অনুসারীদের অনেকেই একমত পোষণ করেছেন।
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি শেখ রাসেলের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ‘আনন্দ কুটুম’ নামে একটি আইডির লেখা নিজের ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে নেটিজেনদের বিতর্কের মুখে পরেন তিনি।
অভিনেত্রীর শেয়ারকৃত পোস্টে লেখা ছিল, ‘একটি মানুষ, একটি ছবি। যে আর কখনোই বড় হবে না। সময়ের নিষ্ঠুর নিয়মের কাছে তার বয়স বন্দি হয়ে গেছে। ৬০তম জন্মদিনে এসেও সে ছোট্ট বাবুটি হয়ে আছে। কোনো কিশোরী মেয়ে তার প্রেমে পড়েনি, তার জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি লেখেনি। কোন যুবতী মেয়ে তাকে পাবার আসায় ঘর ছাড়েনি। আবার তার রক্ত বীর্যেও কারও সৃষ্টি হয়নি। জন্মের এতোদিন পার হয়ে গেলেও সে শিশুই রয়ে গেছে।
তাকে নিয়ে কখনো যুবক কবিদের কবিতার আসর বসেনি। তাকে ভেবে কোন প্রৌঢ় নারী আফসোস করেনি। কেউ কোনদিন তাকে ‘আপনি’ বলে সম্মোধনও করেনি।
সময়ের নিষ্ঠুর থাবায় সেদিন যে ছেলেটির বয়স বন্দি হয়ে গিয়েছিল সেই ছোট্ট শেখ রাসেলের আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বাবু। তুমি নেই, কিন্তু তুমি আছো। ’
এবিষয়ে শাওন তার ফেসবুকে লিখেন, ‘Annando Kutum তোমার এই লেখাটা যতবার পড়ি ততবারই চোখ ভিজে ওঠে।’
পোস্টটিতে তিনি আরও লিখেন, ‘এই পোস্টে যে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া দিবে সে ‘হাঊন আংকেল’।
শাওনের ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের ইতিবাচক-নেতিবাচক রিয়েক্ট দেখা যায়। উল্লেখ্য, শেখ রাসেলের জন্মদিনসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অভিনেত্রীর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় একজন লিখেন, ‘মেহের আফরোজ শাওন শেখ রাসেলকে নিয়ে যে দরদ ভরা রচনা দিলেন, সেটা পড়ে মনে হলো খুব ভালোবাসা নিয়ে পোস্টটা দিয়েছেন। শেখ রাসেল অল্প বয়সে মারা যাওয়ায় সে খুবই হতাশ। জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাদে গুলি খেয়ে মারা যাওয়া ছোট্ট বাবুটার কথাটা কি সে ভাবেনা? বা ৭১ এর যুদ্ধে মারা যাওয়া কোনো শিশু? তাদেরও তো কখনো বয়স বাড়বে না, তারাও জীবনের কিছুই দেখেনি!’
পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী তসলিমা নাসরিন ও চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শাওনের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শাওনের কাজকর্ম দেখে অনেকেই তাকে তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে রিলেট করে অনুমান করা শুরু করেছেন। আপনাদের অনুমান যে শুধুই অনুমান নয়, বরং সত্যি ঘটনা এটা হলো তার প্রমাণ! ওই শিক্ষার্থী আরও লিখেছেন, ‘তিনজন গুণী মানুষকে একসঙ্গে সুন্দর লাগছে! ওই একটা কথা আছে না– Birds of same feather flock together!
কেউ লিখেছেন, ‘সকাল থেকেই ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ঠিক বুদ্ধি। রাস্তায় প্রতিদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে কর্মজীবীরা।’ অন্য একজন রাজধানীতে ঘটমান বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছেন মন্তব্যে। জবাবে ঠাট্টা করে শাওন লিখেছেন, ‘যাক বাবা মনটা শান্ত হলো। আন্দোলন ছাড়া দিনটা গেলে মনে হয় কী যেন নাই!’