জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট অনাকাংখিত পরিবেশে কৃষির উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) গত ২৩ থেকে ২৪ মে দুদিন ব্যাপি “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অ্যাডভান্সড এগ্রিকালচারাল রিসার্স” শীর্ষক একটি করফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে আমেরিকা, জাপান, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীন, কেনিয়া ও বাংলাদেশসহ ৪৫টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গবেষক ও বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান পৃষ্টপোষক ছিলেন সিকৃবির উপচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জামাল উদ্দিন ভূইয়্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজুল ইসলাম প্ল্যানারি স্পীকার ছিলেন। কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এজেন্সির পরিচালক ড. লী হী ও পশ্চিমবঙ্গের বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মানাস মোহন অধিকারী। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সিকৃবির পরিচালক (গবেষণা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূইয়া।
এই আন্তর্জাতিক কর্মশালায় দেশে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের দাখিলকৃত ৫০০ গবেষণা ভিত্তিক প্রবন্ধের মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রকাশিত হয়। কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আওয়মীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ক্লাইমেট চেইঞ্জ ইমপ্যাক্ট অন এনভাইরনমেন্টাল কম্পোনেন্ট এর প্যারালাল সেশনে চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। উল্লেখ্য, এই সেশনের কীনোট স্পীকার ছিলেন ড. হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বিজ্ঞানীরা এই সেশনে জলবায়ূ পরিবর্তনে সৃষ্ট বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও জলবায়ূ সহনশীল পরিবেশের উন্নয়নের ওপর গবেষণা ভিত্তিক ফলাফল উপস্থাপন করেন।
পরিশেষে এই টেকনিক্যাল সেশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়ন ও ভিশন ২০৪১ পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সিকৃবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানের কর্মশালাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
অংশগ্রহনকৃত দেশী বিদেশী বিজ্ঞানীরা কর্মশালার ব্যবস্থাপনা ও আথিতিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পরিশেষে ড. আলম মনে করেন এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের কর্মশালা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে বছরে একবার হওয়া উচিত যেখানে বিজ্ঞানীদের উপস্থাপিত প্রবন্ধ ৎপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেল্টা প্ল্যানের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।