বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও তার প্রধান হিসাবে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত ও পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সও যোগ দিয়েছিলেন।’
‘ড. ইউনূস সহিংসতা বন্ধ করার যে আহ্বান করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করুক। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত’, যোগ করেন তিনি।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের যে কাজ করবেন, তাতে ইইউ সহায়তা করবে। এই প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।’
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরে নেওয়ার আশাবাদ প্রকাশ করেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় লিখেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। তিনি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে একটি সুষ্ঠূ ও মঙ্গলময় ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবেন, এই আশাবাদ প্রকাশ করছি। আমি তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এবং আশা করব আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও গভীরে পৌঁছাবে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীনও। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বেইজিং জানিয়েছে, পারস্পরিক বিনিময় ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদও ভেঙে দেওয়া হয়। প্রায় চার দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।