নির্দিষ্ট বয়সে কিশোরী কিংবা তরুণীর পিরিয়ড হওয়া স্বাভাবিক। আর তা প্রতিমাসে একটি সার্কেল অনুযায়ী আবর্তিত হয়। কিন্তু এই নিয়মের যদি কোনো গরমিল হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে কোনো জটিলতা রয়েছে।
নানারকম সমস্যার কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
এটি অন্য কোনো রোগের লক্ষণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ওজন হ্রাস, থাইয়রেড সমস্যা, মানসিক চাপ, ওভারির সমস্যা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে সাধারণত মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে দুশ্চিন্তা না করে এর কারণ বের করুন। আর এমন হলে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এটি নিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া টিপস-
১. নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই সমস্যা থাকে না। তবে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, সেগুলো করলে অনেক সময় মাসিক হয়ে যায়। ব্যায়ামের ধরন রয়েছে। যেটা পিরিয়ডের আগে-পরে কিংবা ওই সময় করার জন্য আলাদাভাবে বলা থাকে কোন ব্যায়ামটি কোন সময়ের জন্য।
২. টকজাতীয় ফল যেমন- তেঁতুল, মাল্টা, জলপাই পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে থাকে। চিনি মেশানো পানিতে তেঁতুল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর এর সঙ্গে লবণ, চিনি ও জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুবার পান করুন। নিয়মিত পিরিয়ডের জন্য এই পানীয় কাজে দেবে।
৩. এই চক্রকে নিয়মিত করতে আদা বেশ কার্যকর। ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ৫-৭ মিনিট সিদ্ধ করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পর তিনবেলা এটি পান করুন। নিয়মিত এক মাস এটি পান করুন।
৪. তিল আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে সাহায্য করবে। তিলের উপাদান হরমোন উৎপাদন করে থাকে। অল্প পরিমাণের তিল ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ গুড় মিশিয়ে নিন। এটি রোজ খালি পেটে এক চা চামচ করে খান। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।
৫. খাবার খাওয়ার আগে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দিয়ে থাকে, যা মাসিক নিয়মিত করে থাকে।
৬. অনেক সময় মেনোপজের সময় চলে এলে এমনটা হয়ে থাকে। তাদের জন্যও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেশি জরুরি। কারণ মেনোপজের পর পরই অনেক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
৭. কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের সমস্যা সমাধান করে। কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পান করলে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর হবে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি পান করবেন না।
৮. দুধ, মধু বা গুড়ের সঙ্গে এক-চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ খান। কয়েক সপ্তাহের জন্য বা অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রতিদিন খেতে পারেন।
৯. জিরায় রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসায় ভেজানো জিরা ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ চামচ জিরা নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জিরা ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু পান করুন।