বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৮ আগস্ট) এ আদেশ দেয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) -কে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে, তিন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেছেন। তারেক রহমানকে আইনের দৃষ্টিতে ‘পলাতক’ উল্লেখ করে তার সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক এই আবেদন করা হয়। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (২৮ আগস্ট) এই আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রুল জারি করে। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শুরু হয়।