ভাতা সমন্বয়ের দাবিতে শাহবাগে চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু

::
প্রকাশ: ১ বছর আগে

৫০ হাজার টাকা মাসিক ভাতার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্টগ্র্যাজুয়েটরা। তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকা বর্ধিত ভাতা চিকিৎসকদের সঙ্গে হাস্যরস ছাড়া কিছুই না, যা কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।

বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করেই সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন চিকিৎসকরা।

এসময় তারা ‘বেতন ভাতার উন্নয়ন, করতে হবে বাস্তবায়ন’, ‘আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই’, ‘ক্ষুদা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে, রোববার (১৬ জুলাই) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভাতা ৫ হাজার টাকা বেড়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এর আগে এই চিকিৎসকরা ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা আপাতত পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করেছেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি সম্ভব নয়। পরবর্তীতে এ সংকট কেটে গেলে আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।

তবে এই ভাতা বৃদ্ধি আন্দোলনকারীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাত্র ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে তাদের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।

এদিকে, রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিএসএমএমইউ থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করতে গেলে আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কয়েকজন চিকিৎসক আহতও হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরতদের।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতর থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ ও চিকিৎসকদের মাঝে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর একপর্যায়ে সায়েন্স-ল্যাবমুখী রাস্তা অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নেন তারা।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করার কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি তারা। ফলে বিএসএমএমইউর ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এ সময় বিএসএমএমইউর সব গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ।