ভাঙা রাস্তায় অতিরিক্ত ঝাঁকুনি, রিকশায় শিশুর জন্ম

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে
সংগৃহীত ছবি

হঠাৎ করেই রাস্তায় শিশুর কান্না, চমকে যান পথচারীরা। আশপাশের লোকজন ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন মায়ের গর্ভের সন্তান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে বের হয়ে আসছে।

শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামে।

‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যা শিশুর অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে বিষয়ে নিয়ে শনিবার সারাদেশে পালিত হয় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। এই দিনেই রাস্তার ওপরে কন্যাশিশুর জন্মগ্রহণ করায় বিষয়টি গৌরীপুরে ট্ক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।

জানা যায়, বোকাইনগর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের আশরাফুল আলম টিটুর স্ত্রী ফারজানা আক্তার পিংকির প্রসব ব্যথা ওঠে। প্রথমে বাড়িতে নরমাল প্রসবের জন্য চেষ্টা করেন ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মী বিলকিস আক্তার। তারপর তিনি প্রসূতির সঙ্গে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেন।

রিকশাটি কালিপুর মধ্যম তরফ থেকে থানা গেট পর্যন্ত ভাঙা রাস্তা ও খানা-খন্দ অতিক্রমের সময় অতিরিক্ত ঝাঁকুনি লাগে।

তিনি আরও জানান, ভাঙা রাস্তায় অটোরিকশা চলা অবস্থায় প্রসূতি শুধু মা-মা বলে চিৎকার করছিল, আমরা দুজন তাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছি। পেটের সন্তানকে তো আর জড়িয়ে ধরতে পারি নাই! ভাঙা-চোরা রাস্তার কারণে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই ফুটফুটে শিশুটি মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে।

প্রসূতি মা ফারজানা জান্নাত পিংকি জানান, একেকটা গর্ত আমার নিকট কয়েকটা পাহাড়-পর্বত অতিক্রমের চেয়েও কষ্ট হয়েছে, আপনারা পত্রিকায় লিখে রাস্তাটা ঠিক করান! ভাঙা রাস্তা গর্ভবতী মায়ের কি কষ্ট; সেটা মা ছাড়া কাউকে বোঝানো যাবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নবজাতক ও মা হাসপাতালে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ভর্তি হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছেন। দুপুর দেড়টার দিকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

সন্ধ্যা ৭টায় শিশুর বাবা আশরাফুল আলম টিটু জানান, শিশু ও তার মা সুস্থ আছে। আমরা শিশুর এখনো নাম রাখিনি।