প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অনুষ্ঠানে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী আফসার হোসেন (৫০), মো. জামাল হোসেন (৩৫), মো. সোহাগ, আব্দুল মালেক, মনির হোসেনসহ অন্যান্য আহতদের মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এর মধ্যে গুরুতর আহত মনির হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে গজারিয়া থেকে ট্রলারযোগে আগত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহম্মেদ খান জিন্নাহ’র নেতৃত্বে আসা আওয়ামী নেতাকর্মীরা শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস পন্থী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার কাউন্সিল মকবুলের লোকজন দ্বিতীয় দফায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এতে এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ফলে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহম্মেদ খান জিন্নাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সমর্থিত মকবুল কাউন্সিলরের সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিত ভাবে আ.লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

এমপি পন্থী মুন্সীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নাহ তার ভাইকে মারধর করে। এর জের ধরে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।