জাবিতে ধর্ষণ: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিত, তদন্ত কমিটি

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সিন্ডিকেটের সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের এ সভা হয়।

একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। তাদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত। রিমান্ডে নেওয়া অপর আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রাখে অভিযুক্ত ছাত্ররা। পরে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পলাতক আছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ।