ঘরে বসে যেভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করবেন

:: পাঁচ ফোড়ন ডেস্ক ::
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করা অনেকটাই ঝক্কি-ঝামেলার বিষয়। তাই অর্থ ও সময় বাঁচাতে চাইলে অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারেন। আসুন জেনে নিই, ঘরে বসে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মগুলো।

পাসপোর্ট রিনিউ নতুন একটি পাসপোর্ট তৈরি করার মতোই। তাই পাসপোর্ট তৈরি করতে যে টাকা আপনার খরচ হয়েছিল, ঠিক একই খরচ পড়বে পাসপোর্ট রিনিউ করতে।

পাসপোর্ট রিনিউ করার কারণ:
মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, কোনো কারণে হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে, ছিঁড়ে গেলে বা নষ্ট হলে এবং কোনো তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে চাইলে সাধারণত পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম:
১। প্রথমে অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় যেতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফরম ই-পাসপোর্ট/ রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন।

যে কারণে আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তা উল্লেখ করে রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করুন।

২। আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হলেই স্টেপ-১-এর একটি পেজ আপনার সামনে চলে আসবে। সেখানে সতর্কভাবে নিজের দেশ, জেলা শহর, থানা নির্বাচন করে টিক দিন।

৩। এরপরই ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পেজটি নির্ভুলভাবে পূরণ করুন। মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিন। এ ক্ষেত্রে আপনার যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। যদি তা না থাকে, তবে সরাসরি অনুমোদিত ব্যাংকে (সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক) ফি জমা দিয়ে সেই রসিদের স্লিপের নম্বর লিখে দিন।

পাসপোর্ট ফি: বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী:
* ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পেজের ই-পাসপোর্টের রেগুলার ফি ৪০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ৬৩২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ৮৬২৫ টাকা।

* ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পেজের ই-পাসপোর্টের রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ৮০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১০৩৫০ টাকা।

* ৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পেজের ই-পাসপোর্টের রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ৮৬২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১২০৭৫ টাকা।

* ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পেজের ই-পাসপোর্টের রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ১০৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১৩৮০০ টাকা।

৪। অনলাইনে সব তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে রিচেক করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন এবং এই আবেদনের একটি কপি নিজের কাছে রাখুন।

৫। এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেয়ার জন্য তারিখ দেয়া হবে। নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রসিদ, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও মূল কাগজপত্রগুলো সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান।

৬। ওইদিন আপনার ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ করবে পাসপোর্ট অফিস।

৭। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হবে আপনাকে। এই রসিদ পাসপোর্ট গ্রহণের সময় অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।

৮। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। ওইদিন ডেলিভারির রসিদ এবং পুরোনো পাসপোর্ট নিয়ে অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

প্রাপ্তবয়স্করা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম রয়েছে। তারা সে নিয়ম অনুযায়ীই পাসপোর্ট রিনিউ করবেন।

আর যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তারা জন্মনিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করতে পারবে। একইভাবে রয়েছে পাসপোর্ট রিনিউ করার ব্যবস্থাও। ১৮ বছর বয়সের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারীর বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে।