খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ায় মালদ্বীপ বিএনপির প্রতিবাদ

:: মোহাম্মদ মাহামুদুল, মালদ্বীপ প্রতিনিধি ::
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির  চেয়ারপার্সন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছে মালদ্বীপ বিএনপি। একই সঙ্গে অতি দ্রুত তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে তারা।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালে সুস্বাদু খাবার নামের একটি হোটেলে  এই দোয়া ও প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মালদ্বীপ বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায়, দোয়া ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মালদ্বীপ বিএনপি’র সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানেতিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম  খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার  জন্য দাবি জানান মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি।

তিনি বলেন, অন্যথায় যে কোনো দুর্ঘটনার জন্য সরকারকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।

সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার প্রতি অমানবিক নিষ্ঠুর আচরন করছে উল্লেখ করে তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মালদ্বীপ বিএনপি’র সভাপতি বলেন, জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ফরমায়েসি রায়ে বন্দি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশের জনগণ, বিদেশি রাষ্ট্র ও দেশে বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এমনকি আ. লীগেরও কিছু নেতার দাবি করেন বেগম জিয়াকে তার মৌলিক অধিকার বিদেশে চিকিৎসা সেবার জন্য অনুমতি পাওয়া।

প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন মালদ্বীপ বিএনপির সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আলম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান শাহাজি, ক্রীড়া সম্পাদক মামুন মিয়া, মালদ্বীপ বিএনপি সদস্য মাহফুজুর রহমান।

প্রতিবাদ সভা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি কামনায় করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ বিএনপি’র সহ-সভাপতি এরশাদ মোল্লা, আলমগীর মজুমদার, বিল্লাল হোসেন,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোক, খাইরুল  আমিন, মোহাম্মদ  হালিম, জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ আলী, পিয়াস হাসান, আব্দুল কাদের, আবুল কালাম, মনির হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।